বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

‘বিজিবির আন্তরিকতায় মুগ্ধ পালিয়ে আশ্রয় নেয়া বিজিপির অধিনায়ক’

মিয়ানমারের প্রতিরিধি দলটি আসার পর ইনানীতে কথা বলছেন বিজিপির লে. কর্ণেল কিউয় ন্যায়ং স্যু। বিজিবির সরবরাহ করা ছবিতে পাওয়া ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ৮ দিন আশ্রয়ে থাকা মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল কিউয় ন্যায়ং স্যু (Kyaw Naing Soe)|।

নবম দিনে স্বদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের জন্য কক্সবাজার ইনানী জেটিস্থ এলাকায় আনার পর তিনি বিজিবি ও বাংলাদেশের সরকারের প্রতি গভীর কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান। বলেন, ‘বিজিবি তাদের যেভাবে আন্তরিক সহযোগিতা দিয়েছেন, যেভাবে আতিথিয়া দিয়েছেন সত্যি মুগ্ধ, ধন্যবাদ’।

এর জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপি সহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপির সদস্য সহ ৬৫ জন। এর মধ্যেই ছিলেন বিজিপির ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল কিউয় ন্যায়ং স্যুও।

বৃহস্পতিবার ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর জন্য ইনানীতে এনে রাখা হলে বিজিবির পক্ষে কঠোর সর্তকর্তা ও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। এর মধ্যে খুব স্বল্প সময়ের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের ৩৩০ জন জড়ো রাখার প্যান্ডেলে যেতে পেরেছেন। যেখানে কারও সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি।

তবে বিজিবি সহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপির কর্ণেল মিও থুরা নউংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি ইনানী পৌঁছার কিছুক্ষণ পরই এই ৩৩০ জনের সামনে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে কাগজ-পত্র যাচাই ও স্বাক্ষর প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুরুতেই প্রতিনিধি দলের প্রধান মিয়ানমার বিজিপির বিজিপির কর্ণেল মিও থুরা নউং বিজিপির ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল কিউয় ন্যায়ং স্যুকে ডাকেন এবং কথা বলেন। এসময় লে. কর্ণেল কিউয় ন্যায়ং স্যু ইংরেজিতে বিজিবির আন্তরিকতা প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানান এবং মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করেন।

বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বীকার করেছেন লে. কর্ণেল কিউয় ন্যায়ং স্যুর সাথে প্রতিনিধি দলটি কথা বলেছেন। তবে তারা কি বিষয়ে কথা বলেছেন তা জানেন না।

যদিও হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েও বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবির প্রতি কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই প্রক্রিয়াটির মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক আর উন্নত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888