শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সহনশীলতা মাল্টিস্পোর্ট রেসকে বলা হয় ‘ট্রায়াথলন’। যেখানে রয়েছে হল সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো এবং বিভিন্ন দূরত্বে দৌড়। প্রথম বারের মতো কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ট্রায়াথলন’। শনিবার (১০ মে) সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ও জেল প্রশাসনের সহযোগিতায় ‘বৈশাখ ট্রায়াথলন’ নামের এই প্রতিযোগিতায় দুই বিভাগে অংশ নেন দেশি-বিদেশি ২’শ প্রতিযোগী। যেখানে প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে ১ ঘন্টা ২৫ সেকেন্ডে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত। আর অ্যামেচার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মো. মহিউদ্দিন।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের রেজুখালে ৭৫০ মিটার দূরত্ব সাঁতার প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতার। এর পর সাইকেল নিয়ে ছুটতে থাকে সাইকেলিস্টরা।একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্র তার মাঝে দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের ২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রমে চেষ্টা ২’শো প্রতিযোগির। শেষে ৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা।
সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড় ৩টিই ১ ঘন্টা ২৫ সেকেন্ডে শেষ করে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত। তিনি জানান, এরকম প্রতিযোগিতা বাড়ানো হলে খেলোয়াড়রা উৎসাহিত হবে। এক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা বিদেশি আরও বেশি বেশি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে এবং খেলোয়াড় তৈরি হবে।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাবাহিনীর ১০ পতাধিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম। এসময় তিনি বলেন, বৈশাখী ট্রায়াথলন-২০২৫ পর্যটন শহর হিসেবে কক্সবাজারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সর্বসাধারণের মনোদৈহিক সুস্থতা বজায় রাখতে যথেষ্ট উৎসাহ ও সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। এই ট্রায়াথলন স্থানীয় জনগন এবং পর্যটকদের নিকট অত্যন্ত গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং সবাই এমন আয়োজনের জন্য।
বৈশাখী ট্রায়াথলন-২০২৫ প্রতিযোগিতায় ২টি ক্যাটাগরিতে ২ জন নারী এবং ১৯৬ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেছেন। প্রফেশনাল ক্যাটাগরি গ্রুপে নারী এবং পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন যথাক্রমে মো: শামসুজ্জামান এবং ফেরদৌসী আক্তার মারিয়া। অ্যামেচার ক্যাটাগরি গ্রুপে পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মো: মহিউদ্দিন। এছাড়াও প্রতিটি শ্রেণীর প্রথম ১০ জন অংশগ্রহণকারী স্মারক ক্রেস্ট এবং ট্রায়াথলন সম্পন্নকারী প্রত্যেকে একটি আকর্ষণীয় মেডেল ও একটি ই-সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন।
প্রতিযোগী রফিক বলেন, মেরিন ড্রাইভে ট্রায়াথলন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ এখন কক্সবাজারের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রীর ওপরে। এই ট্রায়াথলনের দূরত্ব আরও বেশি হলে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ত।
কামরুল হাসান বলেন, কক্সবাজারে যে তাপমাত্রায় ট্রায়াথলন হচ্ছে তা অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ সাড়ে ৬টায় সাতার শেষ করে ২০ কিলোমিটার সাইক্লিং, এরপর ৫ কিলোমিটার দৌড়ানো অনেক চ্যালেঞ্জ। তারপরও শেষ করেছি অনেক ভাল লাগছে।
ইব্রাহীম বলেন, প্রথমবারের মতো মেরিন ড্রাইভে ট্রায়াথলনের আয়োজন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি সেনাবাহিনীকে। ভবিষ্যতে এ ধরণের আয়োজন যেন আরো বাড়ানো হয়।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply