বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন

গরুর মাংস কতটুকু খাওয়া নিরাপদ?

আমিনা শাহনাজ হাশমি

আসছে কোরবানির ঈদ। এ সময় রেড মিট খাওয়া পড়ে একটু বেশিই। গরুর মাংসে যেমন আছে উপকারিতা, তেমনি মাত্রাতিরিক্ত খেলে তা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণও কিন্তু হতে পারে। নিজেকে সুস্থ রাখতে গরুর মাংস কতটুকু খাবেন, কীভাবে খাবেন, জেনে নিন সেটাই।

দৈনিক গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম। ৩ আউন্স মাংসে আছে ২০০ কিলো ক্যালোরি যা দৈনিক মাত্র ১০ ক্যালোরির জোগান দেবে।

এই ৩ আউন্স মাংসে কোলেস্টেরল থাকে ৫৩ মিলিগ্রাম। একজন সুস্থ ব্যক্তির দৈনিক নিরাপদ মাত্রা হলো ৩০০ মিলিগ্রাম এবং হার্টের রোগীদের জন্য ২০০ মিলিগ্রাম। তাই তিন আউন্স গরুর মাংস খাওয়া নিরাপদ।
প্রোটিন
গরুর মাংসে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও হাড়, কলিজা, মগজ ইত্যাদি থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ২২.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

ফ্যাট
ছোট গরুর মাংসে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। এই মাংসে অনেক সম্পৃক্ত ফ্যাট রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম মাংসে ফ্যাট রয়েছে ২.৬ গ্রাম।

খনিজ পদার্থ
প্রচুর পরিমাণে জিংক, আয়রন, সোডিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও কপার রয়েছে গরুর মাংসে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এসব খনিজ পদার্থ। এগুলো আমাদের শরীরের রক্ষণাবেক্ষণ ও রোগ প্রতিরোধ করে। ৩ আউন্স মাংসে ৩৯ শতাংশ জিংক পাওয়া যায়।

ভিটামিন
গরুর মাংস ভিটামিন বি এর ভালো উৎস। ভিটামিন বি ১২, বি ৬, রিবোফ্লাবিন ইত্যাদি পাওয়া যায় গরুর মাংসে, যা মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষায় সাহায্য করে। আমাদের দেহে ২.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১২ এর প্রয়োজন প্রতিদিন। এর ৩৭ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে গরুর মাংস।

খাবার প্রক্রিয়া
গরুর মাংস খেয়েও আপনি ভালো থাকতে পারবেন যদি নিয়ম মেনে রান্না করেন। রান্নায় তেলের ব্যবহার কমিয়ে রান্না করুন। ভুনা করে বেশি মসলাযুক্ত রান্না করবেন না। গরুর মাংসের চর্বির পরিমাণ কমাতে বাড়তি চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করা যেতে পারে। কারণ চর্বির পরিমাণ বেশি হলে ক্ষতি শরীরের জন্যই। তবে গরুর মাংস কতটুকু ক্ষতিকর, সেটা নির্ভর করবে আপনি কী পরিমাণে খাচ্ছেন তার উপর। আবার সবজি দিয়ে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। তবে সপ্তাহে দুই থেকে একবার খাওয়াই ভালো। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। তাই গরুর মাংস খাবেন, কিন্তু পরিমাণ সীমিত।
ঝুঁকি

  • মাংসে আঁশের পরিমাণ কম থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোলন ক্যানসারে হওয়ার আশংকা থাকে এতে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়বে।

লেখক: পুষ্টিবিদ

( লেখাটি বাংলা ট্রিবিউন থেকে সংগৃুহত )

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888