রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের মিনারা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে নয় টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বটতলী বাজার এলাকার নিজের বসতবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মরদহটি উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে স্বামী চার সন্তান নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ই্উপি সদস্য জহির আহমদ ও টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
নিহত মিনারা বেগম উপজেলার প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মৃত হাজী আবুল কালামের মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানায়, ২০১৪ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে সেন্টমার্টিন পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালামের মেয়ে মিনারা বেগম ও সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়ার বাসিন্দা রফিক আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। এর মধ্যে এই দম্পত্তির সংসারে চারজন ছেলে সন্তান রয়েছে। বিভিন্ন সময় দুই এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়তেন। আবার কখনো কখনো দ্বিতীয় বিবাহের ভয় প্রদর্শন করতেন। এরমধ্যে গত কয়েক মাস ধরে মোহাম্মদ ইব্রাহিম বিদেশ যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা চাইলে দম্পতি কলহ শুরু হয়। ঘটনার দিন মিনারা মহেষখালীয়াপাড়া শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখান থেকে চলে আসার পর নিজেদের করা বটতলী বাজার এলাকার বাড়িতে রাত নয়টার দিকে দরজা বন্ধ অবস্থায় ঘরের সিলিং এর সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে বড় ভাই মোহাম্মদ ইলিয়াসকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। ইলিয়াস ও তার নিকট আত্মীয়-স্বজনের ঘটনার স্থলে পৌঁছালে ঘরের দরজায় বাইির থেকে তালাবদ্ধ ছিল এবং ইব্রাহিম তালা খুলে দিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে রাত সাড়ে দশটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত মিনারা বেগমের বড় ভাই মো. ইলিয়াস বলেন, যৌতুকের দাবিতে টাকা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার ছোট বোনকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপর স্বামী ইব্রাহিম তার চার সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এমনকি ওই চারজন সন্তান তার মৃত মায়ের চেহারা পর্যন্ত দেখতে পায়নি। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘরের সিলিং এর সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
অভিযুক্ত স্বামী মোঃ ইব্রাহিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় কোন ধরনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, রাতেই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply