রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় দফায় দফায় পুলিশকে ঘুষ দিয়েও নিস্তার মিলছে না অসহায় আব্দু শুক্কুরের। প্রতিনিয়ত পুলিশি হয়রাণি ও গ্রেপ্তার আতংকে দিন কাটছে তার। এনিয়ে ভুক্তভোগী আব্দু শুক্কুর সংবাদ সম্মেলন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের ঝিলংজা ইউনিয়নের জানারঘোনা এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আবদুল করিম, আবদুল আজিজ, রেজিয়া আকতার, আবদুর রহিম, মোহনা আকতার ও রেজাউল করিম সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দু শুক্কর অভিযোগ করেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার ১৪ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে আব্দু শুক্কুর মালিক হয়। বর্তমানে উক্ত জমিটি তার বসত বাড়ি। উক্ত এলাকা জমির মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার মৃত মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে সৈয়দ উল্লাহর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। একারণে উক্ত জমিটি ক্রয়সূত্রে মালিক দাবিদার করে আব্দু শুক্কুর ও তার পরিবারের সদস্যেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। উক্ত মামলাকে পুজি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশের এসআই ইকবাল আব্দু শুক্কুরকে ধরে নিয়ে যায়। পরে শহরের কলাতলী মোড়ে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বিকাশ এবং নগদে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। একইভাবে দফায় দফায় ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করেন এসআই ইকবাল। এরপরও ঘুষ দাবি করায় এসআই ইকবালের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি এখনও আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আব্দু শুক্কুর আরও অভিযোগ করেন, আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ক্ষুব্দ হয়ে এসআই ইকবালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নানাভাবে হয়রানি করছে। বর্তমানে আব্দু শুক্কুর তার পুরো পরিবার গ্রেপ্তার আতংকে রয়েছে।
এব্যাপারে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত পুলিশের এসআই ইকবালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে উক্ত মামলায় আল আমিন নামের আরেক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মামলাটির বাদি সৈয়দ উল্লাহ ৯৯৯ এ ফোন দিলে সে কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মামলার বাদি সৈয়দ উল্লাহ জানান, ‘ক্রয়সূত্রে জমিটির মালিক আমি। কিন্তু, আব্দু শুক্কুর জমির উপর দালান নির্মাণ করায় মামলা দায়ের করি। আমি পুলিশকে ম্যানেজ করিনি।’
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply