রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন

কোভিড-১৯: ভারতে নতুন শনাক্ত তিন লাখ ৬৬ হাজার, ৩৭৫৪ মৃত্যু

স্বাস্থ্য ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে আগের দিনগুলোর তুলনায় দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালের আগের ২৪ ঘণ্টায় তিন লাখ ৬৬ হাজার ১৬১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আর এ সময় আরও ৩৭৫৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে টানা চার দিন ধরে দেশটিতে দৈনিক চার লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে আর টানা দুই দিন ধরে চার হাজারের বেশি রোগীর মৃত্যু ঘটেছে।

শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার ৫৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমিতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত।

চলতি মহামারীতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই আড়াই লাখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মৃতের মোট সংখ্যা দুই লাখ ৪৬ হাজার ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর যে হার চলছে তাতে আগামী এক কি দুই দিনের মধ্যেই সংখ্যাটি আড়াই লাখ ছাড়াবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর বিশ্বে তৃতীয় স্থানে আছে দেশটি।

আক্রান্তের সংখ্যায় ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকা মহারাষ্ট্রে এক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্ত ৫০ হাজারের নিচে নেমেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।

সংক্রমণের ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটাতে দিল্লি ও হরিয়ানা লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। চলতি সপ্তাহে ভারতের রাজধানীতে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। উত্তর প্রদেশে ২০ মে পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

তামিল নাডুতে ঘোষিত দুই সপ্তাহের লকডাউন সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। রাজ্যটির প্রতিবেশী কর্নাটকে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪৮ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত ও ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মহামারীতে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতের এখন ত্রাহি অবস্থা। শয্যার অভাবে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হতে না পারায় প্রায় বিনা চিকিৎসায় বহু রোগী মারা যাচ্ছে। আবার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকা বহু রোগীও তীব্র অক্সিজেন সংকটে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এতে মহামারী মোকাবেলায় দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থার দৈন্য ফুটে উঠেছে। 

ভারতের কোভিড-১৯ সংকটের একমাত্র সমাধান গণটিকাদান কর্মসূচী বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি।

ভারতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হলেও ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের এ কর্মসূচীর আওতায় আনার পর থেকে এর গতি হ্রাস পেয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটিতে উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের পর রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি-রও অনুমোদন দিয়েছে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। ভারত এ পর্যন্ত স্পুৎনিক ভি-র দেড় লাখ ডোজের সরবরাহ পেয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888