শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়া পৌঁছাতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পরীক্ষণমূলকভাবে প্রথমবারের মত চালু হয়েছে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কার্যক্রম।
এখন থেকে সরকারি এ হাসপাতালে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত প্রতিদিনের চিকিৎসা কার্যক্রম শেষে বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত নতুন করে চালু হওয়া এ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে। এছাড়া বৈকালিক সেবাগ্রহীতা রোগীদের রোগ নির্ণয়ের জন্য সরকারিভাবে নির্ধারিত ফি দিয়ে পরীক্ষারও সুযোগ পাবে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পরীক্ষণমূলক বৈকালিক এ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভার্চুয়ালি সারাদেশের ১২ টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ৩৯ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরীক্ষনমূলক এই সেবা কার্যক্রম সফল হলে পর্যায়ক্রমে সব জেলা ও উপজেলা হাসপাতালেও চালু করা হবে।
এতে কক্সবাজারে জেলা সদর হাসপাতাল এবং পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের জন্য এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে।
হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই সেবা কার্যক্রম চালু হওয়ায় চিকিৎসকরা হাসপাতালে নিজেদের চেম্বারে প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত রোগী দেখার সুযোগ পাবেন। এতে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুইদিন করে কাজ করবেন। তারা যে সেবা দিবেন, তার বিনিময়ে সরকারিভাবে তাদের জন্য সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারি রোগীরা সরকারিভাবে নির্ধারিত ফি দিয়ে রোগ নির্ণয় পরীক্ষারও সুযোগ পাবেন।
যে কোন রোগী সরকার নির্ধারিত মূল্যে হাসপাতালের কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন। আর প্রতিজন রোগীর কাছ আদায় করা ফি থেকে সার্ভিস চার্জ কেটে নিয়ে বাকী টাকা মাস শেষে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সম্মানী হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করবেন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো. মোমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো. মোহাম্মদুল হক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা: আইয়ুব আলীসহ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
ডা: মোমিনুর রহমান জানান, উদ্বোধনী দিনে ৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবা প্রদান এবং ৩০ জন রোগী সেবাগ্রহণ করেছেন।
প্রথমদিনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন করে চালু হওয়া সেবা সম্পর্কে এখনো ব্যাপক প্রচার না হওয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগীর দেখা মিলেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply