বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার আদালতে রামু উপজেলার কাউয়ারকোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামশুল আলম সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা মামলা হয়েছে। নিজ ভাই-বোনদের মধ্যে সম্পদের বিরোধের জের ধরে এ মামলা এবং এর আগেও অনেক পক্ষে-বিপক্ষে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারস্থ রামু সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এডভোকেট আয়াত উল্লাহ হোমিনি বাদি হয়েছে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাদি পক্ষের আইনজীবী আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, মামলাটি আদালতে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করার জন্য রামু থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী।
মামলায় রামু উপজেলার কাউয়ারকোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামশুল আলম ছাড়া অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, মো. আনাছ, কানিজ ফাতেমা, রেহেনা বেগম, ওবায়দুল হক, জসিম উদ্দিন, ছালেহ আহমদ, আবদুল হক, হামিদ হোসেন, আবদুল গফুর।
মামলার বাদি এডভোকেট আয়াত উল্লাহ হোমিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে তার ভোগদখলীয জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে। এ ব্যাপারে ২০২১ সালে দায়ের করা একটি হামলার মামলায় মো আনাছকে ২ বছরের সাজাও দেন আদালত। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত এ আসামীকে সাথে নিয়ে জমি দখল করতে বুধবার (৮ ফেব্রæয়ারি) সকাল ১১ টায় আবারও সশস্ত্র হামলা চালায় চক্রটি। এ সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দা, লোহার রডটি এলোপাতারি হামলায় গুরুতর আহত হন ৪ জন। যার মধ্যে তার ভাই আহত ওমর ফারুককে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতাবস্থায় অপর ২ ভাই হাবিব উল্লাহ ও তৈয়ব উল্লাহ, প্রতিবেশি হাসিনা বেগম কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মামলা নিয়ে অপরাগতা প্রকাশ করায় তিনি বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
মামলায় অভিযুক্ত কাউয়ারকোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামশুল আলম জানান, মামলার বাদি আইনজীবী সম্পর্কে তার ভাইপো। অন্যান্য অভিযুক্তরাও পরষ্পর আত্মীয়। মুলত পিতার সম্পদ নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ ও মামলা চলে আসছে। তার পিতার ২ স্ত্রী হওয়ায় উভয়ের সন্তানদের মধ্যে এই বিরোধ। এলাকায় তার প্রতিপক্ষের অর্থায়নে কোন কারণ ছাড়াই তাকেও আসামি করার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে এটা সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানান তিনি।
চেয়ারম্যান জানান, ২ স্ত্রীদের সন্তানদের বিরোধের জের ধরে ইতিমধ্যে পক্ষে বিপক্ষে অনেক মামলা হয়েছে। এ মামলা থেকে বাদির পিতার বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন ছেলে (আয়াত উল্লাহ হোমিনি )।
রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোছাইন জানিয়েছেন, পিতার সম্পদের বিরোধে বুধবার সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবহিত। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে আহত রয়েছে। এরা চিকিৎসাধিন রয়েছে। কোন পক্ষই এ পর্যন্ত থানায় এজাহার নিয়ে যাননি। এজাহার এলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। এ পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টা) আদালতের কোন নির্দেশনা তিনি হাতে পাননি বলেন জানান।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply