শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : পেকুয়ার কলেজ শিক্ষক এসএম ফরহাদ উদ্দিনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ছালেহ জঙ্গী ওরফে ছোটন, আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছোটনের স্ত্রী আসমাউল হোসনা লিপি। একই সঙ্গে ছালেহ জঙ্গীকে ১০ লাখ টাকা ও তার স্ত্রীকে লিপিকে ৫ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী জানান, ওই মামলার ৪ জন অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, ছালেহ জঙ্গীর ভাই সিরাজুল মোস্তফা, নুরুল আবছার ও তার স্ত্রী শাহেদা বেগম এবং মেয়ে শিরিন জন্নাত আঁখি। এরা সকলেই পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের আব্দুল হামিদ সিকদারপাড়ার বাসিন্দা ও স্বজন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী জানান, ২০১৫ সালের ৬ মে রাত ৯টায় দিকে মা রাহেলা মুসতারির সামনেই পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের আব্দুল হামিদ সিকদারপাড়ায় গুলি করে কুপিয়ে হত্যা করা হয় পেকুয়ার কলেজ শিক্ষক ফরহাদ উদ্দিনকে। ৮মে ছেলে হত্যার বিচারের জন্য ৬ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা মোহাম্মদ ইউনুছ। একই বছরের ৩ নভেম্বর পেকুয়া থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহীদ উল্লাহ ছালেহ জঙ্গী ও তার স্ত্রী লিপিকে অভিযুক্ত করে এবং বাকি ৪ জনকে মামলার থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। তবে সেই অভিযোগপত্রের মামলার বাদি মোহাম্মদ ইউনুছ না-রাজি দেন। পরে ২০১৯ সালের ৪ আগষ্ট এজাহারনামীয় সব আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে কক্সবাজার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ।
তিনি জানান, এ মামলার ১৯ জন স্বাক্ষী থাকলেও ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্য প্রমাণ ঘটনায় অন্য ৪ আসামি দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তবে মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা হয়েছে।
মামলার বাদি ও নিহত ফরহাদের বাবা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, রায়ে হয়েছে শুনে খুশি লাগছে। তবে আমার ছেলের হত্যার ৭ বছরে যেখানে একজন আসামিও গ্রেফতার হয়নি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply