নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘ ‘গ্যাসের চুলার আগুনে’ অগ্নিদ্বগ্ধ ছয়জনের মধ্যে বাবা-ছেলে দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।

নিহতরা হল, উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১ নম্বর ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের আজগর আলীর ছেলে নুর আলম (৫৯) ও তার ( নিহত নুর আলম ) ছেলে আনোয়ার মোস্তফা (১২)।

গত ১২ মে ( বৃহস্পতিবার ) সকালে উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. নুর আলমের স্ত্রী নিজের ঘরে গ্যাসের চুলায় রান্না করছিলেন। এক পর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তাতে চুলা থেকে আগুন লেগে যায়। এসময় নুর আলম, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান অগ্নিদ্বগ্ধ হয়। পরে আগুন নেভাতে এসে দ্বগ্ধ হন দুই প্রতিবেশী।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অগ্নিদ্বগ্ধদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

পুলিশ সুপার নাইমুল বলেন, গত ১২ মে ( বৃহস্পতিবার ) সকালে উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের বাসিন্দা নুর আলমের স্ত্রী ঘরে রান্না করার সময় গ্যাসের চুলার সংযোগ পাইপ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে আগুন লেগে গেলে ৬ জন দ্বগ্ধ হন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় এমএসএফ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

” মঙ্গলবার দুপুরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মধ্যে বাবা-ছেলে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। “

এপিবিএন কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।