কক্সবাজার জেলা

ছিনতাইকারীর চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করে আতংকে কারারক্ষী

বিশেষ প্রতিবেদক : হোটেল- মোটেল জোন এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী ইয়াসিন আরফাত সহ অজ্ঞাত তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করে চরম আতংকে দিন কাটছে কক্সবাজার কারাগারে দায়িত্বরত কারারক্ষী মোবাশ্বের বারীর। এমনকি তার কাছ থেকে ছিনতাইকারীদল লুটে নেয়া মোবাইল ও নগদ টাকা এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে কারান্তরীন আরফাতের পিতা সহ স্বজনরা মামলা তুলে নিতে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। যার কারনে আতংকে পাশাপাশি, হতাশা বিরাজ করছে মোবাশ্বেরের মধ্যে। এমনকি মোবাশ্বের ঘুম ভাঙ্গে আতংকে! এই তিনি পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সু-দুষ্টি কামনা করেছেন।

কারারক্ষী মোবাশ্বেরের দায়ের করা মামলার নথি ঘেটে জানা গেছে, মোবাশ্বের বারী কক্সবাজার কারাগারে কারারক্ষী হিসাবে কর্মরত আছেন। পুলিশ লাইন্সের উত্তর পাশ্বে ভাড়া বাসা নিয়ে পরিবার সহ থাকেন। গত ২০ জানুয়ারী রাত পৌনে ১১ টার দিকে পরিবারের প্রয়োজনে নিত্য পণ্যের জন্য পাশ্ববর্তী দোকানে যান। ওখান থেকে বাসায় ফেরার পথে চিহ্নিত ছিনতাইকারী কারান্তরীন ইয়াছিন আরফাত সহ অজ্ঞাত তিন জন গতিরোধ, ছুরি দিয়ে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল, নগদ টাকা দিয়ে দিতে বলেন। তা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে ছিনতাইকারীরদল তাকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাত করে একটি হাওয়াই ব্রান্ডের মোবাইল ও বিয়াল্লিশ হাজার টাকা লুটে নেয়। এবং তার শরীরের বাম রানে, ডান নিতম্বে, ডান মধ্যম আঙ্গুলে মারাত্বক রক্তাক্ত জখম করে ছিনতাইকারী চক্র পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও সহকর্মীরা উদ্ধার করে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মোবাশ্বের জানিয়েছেন, ঘটনার একমাসের অধিক হলেও তার লুন্ঠিত মোবাইল, নগদ টাকা এখনো উদ্ধার হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে তিনি সহ পরিবারের লোকজন রীতিমতো চরম আতংক ও ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও দাবি করেন, এই ঘটনায় চিকিৎসা বাবদ তার দেড় লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। তার কর্মস্থলের লোকজন ছাড়া অন্য কেউ এক টাকাও সহযোগিতা করেনি তাকে।

মোবাশ্বের দাবি করেন, এই ঘটনার সাথে সাথে কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম, জেলার ও ডেপুটি জেলার মনির হোসেন তার দ্রুত চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেন। চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখেন, এবং তার নিরাপত্তার ব্যাপারেও সচেতন রয়েছেন তাঁরা। তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)বিভাস কুমার সাহা বলেন, এই ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামি আরফাতসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। লুণ্ঠিত মোবাইলও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, আমিও সরকারী কর্মকর্তা, তিনিও একজন সরকারী কর্মকর্তা, মোবাইল উদ্ধার সহ তার নিরাপত্তা প্রদানে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই।

nupa alam

Recent Posts

শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন

ফয়সাল উদ্দিন রিপন : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮মে…

1 week ago

ঈদের মোনাজাতে রোহিঙ্গাদের কান্না; স্বদেশ ফেরতের আকুতি

বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…

1 month ago

‘সংক্ষুদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মতে’ বন কর্মকর্তাকে হত্যা : পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…

1 month ago

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ : সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ, এপারে কম্পন

টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…

1 month ago

কক্সবাজার পৌরসভায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…

1 month ago

কক্সবাজারে বিদ্যুৎ নিয়ে সু-খবর

বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…

1 month ago