খেলাধুলা

‘বাংলাদেশ ঘরোয়া ক্রিকেটের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি’

প্রথম আলো : আকিব জাভেদ ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। নব্বইয়ের দশকে ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের ছায়ায় থেকেও নিজেকে গড়েছিলেন অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে। ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে সব সময়ই সোচ্চার আকিব বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও দারুণ শুভাকাঙ্খী। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে তিনি প্রথম আলোকে দিয়েছেন একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার। তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেট, বিপিএল, ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।

১. ২০১৬ সালে আপনি বাংলাদেশ এসেছিলেন। হাইপারফরম্যান্স ইউনিট ও জাতীয় দলের পেস বোলারদের নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন। সে অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আকিব: দারুণ ছিল। আমি খুব উপভোগ করেছিলাম। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন উঠতি বোলারকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। তাসকিন আহমেদকে দেখেছিলাম, তখন সে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে জটিলতার পর সে তখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ওর সঙ্গেও কাজ করেছিলাম। অভিজ্ঞতার চমৎকার ছিল। রুবেল হোসেনের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ। আমি মনে করি গত কয়েক বছরে, নির্দিষ্ট করে বললে গত ২০ বছরে বাংলাদেশে চারজন দারুণ ফাস্ট বোলারের আবির্ভাব ঘটেছে। এঁরা হচ্ছেন তাসকিন, মোস্তাফিজ, রুবেল এবং অবশ্যই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

মাশরাফি এক সময় ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বেগে টানা বোলিং করতে পারত। এমনকি চোটের পরেও সে ভালো করে গেছে। মাশরাফি বাংলাদেশকেও দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন। পেস বোলারদের সাহায্য করা, তাদের স্কিলের উন্নতি নিয়ে কাজ করাটা আমার নেশা। ফাস্ট বোলিং আমার নিজস্ব জায়গা। সুতরাং আমি এর উন্নতি নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি। বাংলাদেশে ২০১৬ সালের দুই সপ্তাহের অভিজ্ঞতা আসলেই দারুণ ছিল।

৩. ভালো ফাস্ট বোলার তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের কি করা উচিত?
আকিব: এটা আসলে অল্প কথায় বলা খুবই কঠিন। এটা নির্ভর করে একজন ক্রিকেটারের মধ্যে ফাস্ট বোলার হওয়ার কি কি গুণাবলী আছে, সেটার ওপর। একজন খেলোয়াড়ের প্রকৃতি প্রদত্ত প্রতিভা ও শারীরিক গঠনের সমন্বয়ের ওপরই ফাস্ট ভালো বোলার হওয়া নির্ভর করে। ফাস্ট বোলার কোনো কর্মসূচি নিয়ে তৈরি করা যায় না। তবে এ ধরনের প্রতিভা খুঁজে বের করা ও তাদের জন্য ফাস্ট বোলিং উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে দেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি দেখুন, পাকিস্তানে কিন্তু এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি ফাস্ট বোলার বেরিয়ে আসে। এর একটা বড় কারণ, পাকিস্তানে অনেক তরুণই টেপ টেনিস ক্রিকেটটা বেশি খেলে। টেপ বলে হাত খুব জোরে ঘুরিয়ে বোলিং করা যায়। কিন্তু সাড়ে ৫ আউন্সের একটা ক্রিকেট বল দিয়ে আপনি বোলিং শুরু করবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই হাত বেশি জোরে ঘোরাতে পারবেন না। ছোটবেলা থেকে টেপ টেনিস বলে বোলিং করাটা একটা বড় কারণ পাকিস্তানে ফাস্ট বোলার বেশি তৈরি হওয়ার।

আরেকটা ব্যাপার হলো, আপনাকে ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করতে হবে। আপনাকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে খোঁজ করতে হবে কে জোরে বোলিং করছে। বিভিন্ন মাঠে ছেলেদের টেপ টেনিস ক্রিকেটে নজর রাখতে হবে।

খাদ্যাভ্যাসও একটা বড় ব্যাপার। শারীরিকভাবে শক্তিশালী কোনো ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করার পর প্রথমেই তাঁর হাতে ক্রিকেট বল তুলে দেওয়া যাবে না। টেপ টেনিস দিয়ে বল করিয়ে করিয়ে তাঁর বাহুর জোর বাড়াতে হবে। এরপর খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে হবে তাঁর। প্রশিক্ষণের কথা তো বলাই বাহুল্য।

৪. বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নটা আপনি চোখের সামনেই দেখেছেন…
আকিব: আমার এখনো মনে আছে, একটা সময় বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা যখন খেলতাম, তখন প্রায় সব ম্যাচই ছিল এক পেশে। কিন্তু গত ১৫ বছরে আমরা দেখছি, বাংলাদেশে দুর্দান্ত সব ক্রিকেটার বেরিয়ে আসছে, যারা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজেদের প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছিল, সেটা আমার এখনো মনে আছে। অস্ট্রেলিয়াতে যেকোনো এশীয় দলের ভালো করাটা খুব কঠিন, কারণ সেখানকার কন্ডিশন অন্যরকম। উইকেটের বাউন্স ও গতি বেশি।

খুব ভালো লাগে যখন দেখি বাংলাদেশ সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান কিংবা মাশরাফি বিন মুর্তজার মতো ক্রিকেটারদের তৈরি করেছে।

মাশরাফির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। সে দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত এক নেতা। গত এক যুগ ধরে সে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। সে তরুণ ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করেছে। মাশরাফিও বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের একটা বড় কারণ। ক্রিকেট উন্নয়নে বাংলাদেশের পরিকল্পনাও দুর্দান্ত। এটার ধারাবাহিকতা আছে। ক্রিকেট একাডেমিও ভালো করছে। যদি আমি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করি, তাহলে অবশ্যই বলব, বাংলাদেশ তাদের সীমিত সম্পদ নিয়েও পাকিস্তানের চেয়ে ভালো করছে।

৫. বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে আপনার সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড় কে?
আকিব: এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা সত্যিই খুব কঠিন। তারপরেও সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ দলের সেরা ক্রিকেটার বলেই মনে করি আমি।

৬. ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যুতে আপনি সব সময়ই খুব সোচ্চার। আপনি কি মনে করেন, এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার জন্যই আপনার ক্যারিয়ার তুলনামূলকভাবে আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে?
আকিব: আমারও তাই মনে হয়। বিচারপতি মালিক কাইয়ূমের কমিশনের সামনে আমি সাক্ষ্য দিয়েছিলাম ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যুতে। তখন আমি পাকিস্তান দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম বলি , যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল। এর পরপরই আমাকে খেলা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ২৮ বছর বয়সেই আমি খেলা ছেড়ে দিই। একটু আগেভাগেই। আরও কয়েক বছর হয়তো আমি খেলতে পারতাম। তবে ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যুতে আমি এখনো লড়ে যাচ্ছি। আমি এটা বিশ্বাস করি, এই সোচ্চার অবস্থানটা কাউকে না কাউকে নিতেই হতো।

৭. ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের জমানায় আপনার আবির্ভাব। এর জন্য কি নিজেকে কিছুটা দুর্ভাগা মনে করেন?
আকিব: এ বিষয়ে কিছু বলা কঠিন। তবে আমি কিন্তু ওই সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি। কারণ, এ দুজনের বাইরেও আমি পাকিস্তান দলে নির্বাচিত হয়েছি এবং দলে আমার নির্দিষ্ট ভূমিকা বা দায়িত্ব থাকত। ওয়াকার বা ওয়াসিমও যে সব সময় ধারাবাহিকভাবে পারফরম করে গেছে, এটাও নয়। আমাকে অনেক সময় অর্পিত দায়িত্ব পালনে স্রোতের বিপরীতে থেকেও বোলিং করে যেতে হতো। কোনো খেলোয়াড় যদি দলে তাঁর দায়িত্বটা সম্পর্কে সচেতন না থাকে, তাহলে কিন্তু তাঁর পক্ষে দীর্ঘ সময় খেলে যাওয়াটা খুব কঠিন।

৮. বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চা্ইজি টি–টোয়েন্টি লিগ বিপিএলকে আপনার কেমন মনে হয়? আপনি কি মনে করেন এই বিপিএল প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে?
আকিব: শুরু থেকেই বিপিএল নানা ঘাত–প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। ভারত আইপিএল চালু করার পর সবাই একই রাস্তায় হাঁটতে চেয়েছে। একই মডেল সামনে রেখে এগিয়েছে, গ্ল্যামারের ছোঁয়া দিতে চেয়েছে। ভারতের মতো করে সেটা করাটা খুবই কঠিন। বাংলাদেশ, এমনকি পাকিস্তানকেও তাদের নিজস্ব ধ্যান ধারণা ও লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে, এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গিয়ে। ভারত বিশাল দেশ, তাদের বলিউড আছে। সেই সংস্কৃতির অনুসরণ বাংলাদেশের পক্ষে করাটা খুব কঠিন।

আমি মনে করি, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে এ ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে গিয়ে নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করার দিকেই নজর দিতে হবে। মানুষ কিন্তু নতুন প্রতিভার অন্বেষণই দেখতে আগ্রহী। পিএসএলেও আমি সব সময় নতুন প্রতিভারই খোঁজ করি। পিএসএল আর বিপিএল একই মানের। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পক্ষে আইপিএলের মতো কিছু করতে যাওয়াটা খুবই কঠিন। আমি এখানে একটা কথা বলব, বাংলাদেশ এখনো তাঁর ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজ লাগাতে পারেনি।

৯. এক জন ভালো বোলারের বিশেষত্ব কি?
আকিব: একজন ভালো বোলার সব সময়ই ভাবনায় ব্যাটসম্যানের চেয়ে এগিয়ে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, বোলারকে সব সময় খুঁজে বের করতে হবে, ব্যাটসম্যান কি ভাবছে। তাঁর পরিকল্পনাটা কেমন। একজন বোলারকে অবশ্যই নিজের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ঘটিয়ে ম্যাচ রিডিংয়ে ব্যাটসম্যানকে পেছনে ফেলতে হয় আর পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে যেতে হয়।

১০. করোনাকালের পর ক্রিকেট মাঠে ফিরলে বলে লালা মাখানো নিষিদ্ধ হবে হয়তো। লালা নিষিদ্ধ করার নেতিবাচক দিকটা আপনার দৃষ্টিতে কি? এটা বোলারদের ওপর কি প্রভাব ফেলবে?
আকিব: প্রথমত, ব্যাপারটা অবাস্তব। বলে লালা বা ঘাম মেখে সেটা উজ্জ্বল করা দীর্ঘদিন ধরে বোলারদের সাধারণ একটা অভ্যাস। এই অভ্যেস রাতারাতি বদলে ফেলা যেকোনো বোলারের জন্যই খুবই চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।

দ্বিতীয়ত, এশীয় দেশগুলো, যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কায় মাঠ বেশ শক্ত আর উইকেট ঘাসহীন। লালা নিষিদ্ধ করাটা ফাস্ট বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, কুকাবুরা বল মাত্র ৬ থেকে ৮ ওভার পরই ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে বসে। উজ্জ্বলতা না থাকায় এ বল দিয়ে ফাস্ট বোলারদের সুইং করানোটা ভীষণ কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। দলগুলো তখন ফাস্ট বোলারদের বাদ দিয়ে স্পিনারদের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে যাবে। আমি মনে করি আইসিসির উচিত, এ ব্যাপারে সঠিক একটা সমাধানে আসা প্রয়োজন। ভ্যাসেলিন বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত বল উজ্জল করার জন্য। অবশ্যই সেটি হবে আম্পায়ারের তত্ত্বাবধানে। লালা নিদ্ধিদ্ধ করলে আইসিসির উচিত কৃত্রিম কিছু ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া।

১২. সম্প্রতি আপনার এক সময়ের সতীর্থ আমির সোহেল ওয়াসিম আকরামকে নিয়ে একটা মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ১৯৯২ সালের পর পাকিস্তানকে ‘বিশ্বকাপ জিততে না দেওয়া’ই তাঁর ক্যারিয়ারের সাফল্য। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে আপনি এই মন্তব্যকে কীভাবে দেখেন?
আকিব: আমি তাঁর সঙ্গে মোটেও একমত নই। সে এটা বলেছে, খুব সম্ভবত ম্যাচ পাতানোর ঘটনাগুলোর কারণে। আমির মনে করে ১৯৯২ সালের পর বিশ্বকাপ জিততে না পারার কারণ ইমরান খান। উনি তাঁর মতো আরও একজন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে চাননি হয়তো। কারণ সেটা হয়তো তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রক্রিয়াটাকে ধীর করে দিত।

আমার কথা হলো, বিশ্বকাপ জিততে ভাগ্য লাগে। নির্দিষ্ট সময়ে দলের সবাইকে জ্বলে উঠতে হয়। আপনি দেখুন, বিশ্ব সেরা এত ক্রিকেটার নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকা কখনোই বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। চোকার হিসেবে তাদের যে পরিচয় রটে গেছে, সেটা থেকেও কখনোই বের হয়ে আসতে পারেনি তারা।

১৩. ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? বন্ধুত্বপূর্ণ?
আকিব: ওয়াকারের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা পেশাগত। তবে ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে সম্পর্কটা সব সময়ই ঠান্ডা। উত্তাপেরও।

১৪. বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সেরা পাঁচ ক্রিকেটার—মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ সম্পর্কে আপনার অভিমত কি!
আকিব: তাঁরা সকলেই নিজেদের প্রমাণ করেছে দারুণ ভাবেই। তবে আমার দৃষ্টিতে এই পাঁচ জনের মধ্যে সেরা সাকিব, মাশরাফি আর তামিমই প্রথম তিন জনের মধ্যে থাকবে। এই পাঁচজন বাংলাদেশের ক্রিকেটের এগিয়ে চলার উদাহরণ। এ মুহূর্তে আপনি যদি আমাকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের তুলনা করতে বলেন, তাহলে বাংলাদেশ মোটেও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে থাকবে না। বরং কোনো কোনো সময় মনে হয় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের চেয়েও বিকল্প অনেক বেশি।

tawhid

Recent Posts

শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন

ফয়সাল উদ্দিন রিপন : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮মে…

1 week ago

ঈদের মোনাজাতে রোহিঙ্গাদের কান্না; স্বদেশ ফেরতের আকুতি

বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…

1 month ago

‘সংক্ষুদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মতে’ বন কর্মকর্তাকে হত্যা : পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…

1 month ago

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ : সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ, এপারে কম্পন

টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…

1 month ago

কক্সবাজার পৌরসভায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…

1 month ago

কক্সবাজারে বিদ্যুৎ নিয়ে সু-খবর

বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…

1 month ago