নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় মোখা আতংকে সাগরে মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে কক্সবাজারের জেলেরা। এরই মধ্যে উপকূলে নোঙর করেছে ৩ হাজারের কাছাকাছি মাছ ধরার ট্রলার। জেলেরা বলছে, সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে, তাই জীবনের ঝুঁকি এড়াতে উপকূলে ফিরছেন তারা। আর বাকি ট্রলারগুলোও সংকেত বাড়লে কূলে ফিরবে বলে জানিয়েছে জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
এদিকে, দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার বাঁকখালী নদীর মোহনায় দেখা যায়, সাগরে মাছ শিকারে যেতে উপকূলে ট্রলারে মজুত করা হয়েছিলো রসদ। সব প্রস্তুতি শেষে জেলেরাও উঠেছিলেন ট্রলারে। কিন্তু সাগরে মাছ শিকারে আর যাচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়ের খবরে আপাতত কক্সবাজার উপকূলে অবস্থান করছেন জেলেরা।
বাঁকখালী নদীর মোহনায় ফিরছে মাছ ধরার একের পর এক ট্রলার। সাগর থেকে ফিরে আসা জেলেরা বলছেন, সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে তাই উপকূলে ফিরছেন তারা।
এফবি তরঙ্গ ট্রলারের মাঝি আবু তৈয়ব বলেন, সাগর উত্তালের পাশাপাশি বাতাস বেড়েছে। তাি মাছ শিকার না করে ২১ জেলে নিয়ে উপকূলে ফিরে আসি।
আরেক জেলে ছৈয়দ আলম বলেন, জীবন বাঁচানোর জন্য উপকূলে অবস্থান। ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলে তারপর সাগরে মাছ শিকার যাব।
ঘূর্ণিঝড় আতংকে এরই মধ্যে কক্সবাজার উপকূলে নোঙর করেছে প্রায় ৩ হাজার ট্রলার। এখনো সাগরে আছে ২ হাজারের মতো ট্রলার।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছে; যে ট্রলারগুলো এখনো সাগরে মাছ শিকার করছে তারা সংকেত বাড়লে উপকূলে ফিরে আসবে। এরই মধ্যে তাদের কে উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারে নিবন্ধিত নৌযান রয়েছে ৫ হাজার ১১৩টি; আর ১ লাখের বেশি জেলে থাকলেও নিবন্ধনের আওতায় এসেছে ৬৫ হাজারের মতো।
বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…
টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…
বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…
রামু প্রতিবেদক : রামুতে ড্রাম্প ট্রাক উল্টে চালকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ২ টার…