নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার আসবেন। ওই দিন তিনি উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশ গ্রহণ শেষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী লাবণীয় পয়েন্টের শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই সময় কক্সবাজার সড়ক বিভাগের ৩ টি সড়কের উদ্বোধন করবেন বলে কক্সবাজারটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফীন।
তিনি কক্সবাজারটাইমসকে জানান, সড়ক ৩ টি হল টেকনাফ- শাহপরীরদ্বীপ জেলা মহাসড়কের হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীরদ্বীপ অংশ পুনঃনির্মাণ-প্রশস্তকরণ, কক্সবাজারের লিংক রোড থেকে লাবণী মোড় সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্ততার উন্নীতকরণ প্রকল্প। এই সড়ক ৩ টি নির্মাণে মোট ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, দেশের সর্বদক্ষিণে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ জেলা মহাসড়কটি অবস্থিত। সড়কটি ঐ এলাকার জনসাধারণসহ মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পণ্য পরিবহনের প্রধান সড়ক। সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার থেকে ৫.৫০ মিটারে উন্নীতকরণের প্রকল্পটি গ্রহণ করে। যেখানে ৫.১৫ কিলেঅমিটার সড়কাংশ, ১ টি সেতু ও ১২ টি কালভার্ট রয়েছে। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ৫৯ কোটি টাকা।
সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, লিংক রোড-লাবণী মোড় সড়কটি পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত। দেশী-বিদেশী লক্ষ লক্ষ পর্যটকের সমাগমে এই সড়কটি মুখরিত থাকে। সরকার পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে আধুনিকায়ন করণের লক্ষ্যে সড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৯.৬৪ কিলোমিটার। যার মধ্যে ২০ টি কালভার্ট রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম সড়ক সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন কক্সবাজারটাইমসকে বলেন, “প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় দেশী-বিদেশী পর্যটকসহ ঐ এলাকার জনসাধারণ সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। সড়কের উভয় পার্শ্বে সড়ক বাতি স্থাপন করায় রাতের আলোতে ফুটপাত ধরে পর্যটকদের আনাগোনা এই নগরীর দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ২১৭ কোটি টাকা।
সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় দিয়ে ঐ এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী যাতায়াত করে থাকেন। রামু সেনানিবাসের অবস্থানের কারণে সড়কটির সামরিক গুরুতপূর্ণ। সড়কটি চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি টেকনাফ গমনের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার কারণে বর্তমান সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার থেকেত ১০.৩০ মিটারে উন্নীতকরণের প্রকল্প গ্রহণ করেন। যার মধ্যে ২ টি সেতু ও ১৪ টি কালভার্ট আছে।
চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আতাউর রহমান কক্সবাজারটাইমসকে বলেন, “প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মিয়ানমার থেকে আমদানীকৃত পণ্যসমূহ এবং সাময়িক আশ্রিত রোহিঙ্গাীদের বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ক্যাম্প সমূহে পরিবহন সহজতর হয়েছে এবং সড়কের দুরত্ব ১২ কিলোমিটার হ্রাস পেয়েছে। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ১৮৪ কোটি টাকা।
ফয়সাল উদ্দিন রিপন : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮মে…
বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…
টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…
বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…