নিজস্ব প্রতিবেদক : মহেশখালীর আলোচিত খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলায় মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমসহ পাঁচজন আসামিকে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ( আদালত নং-১) আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এই আদেশ দিয়েছেন।
কারাগারে পাঠানো অপর চারজন আসামিরা হলেন, মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমের দুই ভাই মৌলভী জহির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন এবং মহেশখালীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও মো. ইব্রাহিম। বিকালে প্রিজন ভ্যানে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের এপিপি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম বলেন, আগামী ২৪ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আলোচিত এই হত্যা মামলায় আসামিদের সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
আইনজীবীরা বলেন, দীর্ঘ ৩১ বছর পর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন হয়েছিল ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্কে সহায়তা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম মাসুদ আলম চৌধুরী, কক্সবাজার আদালতের এপিপি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম প্রমুখ।
যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করেন চলতি ২০২২ সালের ২৬ মে। আজ বৃহস্পতিবার ( ১০ নভেম্বর) রায় ঘোষণার দিন ছিল। আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন মামলার ১৬ জন আসামি। এরমধ্যে মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তাঁর আরও দুইভাই মৌলভি জহির ও নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজন আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ মামলার মোট আসামি ২৬ জন। ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৭ জন আসামি। পলাতক রয়েছেন দুই জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ও তরুণ রাজনীতিক খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটা এলাকার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ওই দিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, পুটিবিলার বাসিনা ও মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, শামশুল আলম, নাসির উদ্দিন, হামিদুল হকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ওই বছরের ২২ নভেম্বর।
২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মামলার বাদী মাহমুদুল করিম বলেন, আগামী ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণা তারিখ ধায্য আছে। ওই দিন আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হবে বলে আশাবাদী তিনি।
বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…
টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…
বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…
রামু প্রতিবেদক : রামুতে ড্রাম্প ট্রাক উল্টে চালকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ২ টার…