আন্তর্জাতিক

কক্সবাজারে ২৪ দেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজম্যান্ট সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণহত্যার বিচারসহ নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের নিশ্চয়তা পেলে রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যাবার অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন ৪৬ তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্টের কয়েকটি দেশের সেনাপ্রধান সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৪-এক্সটেশন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে দেশি-বিদেশি সেনা কর্মকর্তাদের কাছে রোহিঙ্গারা এ মতামত তুলে ধরেন।

এর আগে বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চালর্স এ ফ্লিন সহ ২৪ টি উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন পৌঁছান।

সেখানে পৌঁছে কুতুপালং ৪-এক্সটেশন ক্যাম্পের সিআইসি কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

পরে দেশি-বিদেশি সেনা কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রোহিঙ্গা নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ করেন। এতে ২৩ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু অংশগ্রহণ করেন।

এসময় আলাপকারি রোহিঙ্গারা সেনা কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তৃতীয় কোন দেশে নয়; রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরতে উদগ্রীব। গণনহত্যার বিচারসহ নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের নিশ্চিয়তা পেলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাবেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮ টায় কক্সবাজারের ইনানীর একটি অভিজাত হোটেলে শুরু হয় ৪৬ তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজম্যান্ট সেমিনার।

এতে অংশ নিয়েছে কয়েকটি দেশের সেনাপ্রধানসহ ২৪ দেশের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা। বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মত এ আয়োজন হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ আয়োজনে সেমিনারের এবারের থিম হলো ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’।

৪৬ তম আইপিএএমএসের তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি।

আইপিএএমএস হল অন্যতম প্রধান সেনা কর্মকাণ্ড, যা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্থল বাহিনীর সিনিয়র সামরিক নেতৃত্বের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে মতামত ও ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি ফোরাম।

আইপিএএমএস-এর উদ্দেশ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো সেমিনারের সহ-আয়োজক। এর আগে ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালে এই ইভেন্টের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।

nupa alam

Recent Posts

শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন

ফয়সাল উদ্দিন রিপন : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮মে…

2 weeks ago

ঈদের মোনাজাতে রোহিঙ্গাদের কান্না; স্বদেশ ফেরতের আকুতি

বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…

1 month ago

‘সংক্ষুদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মতে’ বন কর্মকর্তাকে হত্যা : পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…

1 month ago

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ : সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ, এপারে কম্পন

টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…

1 month ago

কক্সবাজার পৌরসভায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…

1 month ago

কক্সবাজারে বিদ্যুৎ নিয়ে সু-খবর

বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…

1 month ago