কুতুপালং-এ মেম্বার হেলালের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানবন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সাধারণ জনগণ।

সোমবার সকালে কুতুপালং প্রধান সড়কের পালং জেনারেলের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইয়াবা মামলায় জেল ফেরত আসামী দীপন বড়ুয়া সাধারণ মানুষের কাছে চাঁদাবাজ হিসেবে চিহ্নিত। দীপনের বিরুদ্ধে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনও প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে। এই দীপন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রিকায় এলাকার জনপ্রিয় মেম্বার হেলালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

সভায় বক্তারা বলেন, হেলাল মেম্বার এই ওয়ার্ডে ২ বার বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছে। তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব। বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শশ্মানে উন্নয়নে তিনি সবসময় পাশে থাকেন। ৯নং ওয়ার্ডের সকল ধর্মের মানুষ হেলাল মেম্বারের কাছে নিরাপদ। সে সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। নিজের তহবিলের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন অনুদান তিনি দলমত ও ধর্মের উর্ধ্বে উঠে সবাইকে বিতরণ করে আসছেন। কিন্তু তথাকথিত সংখ্যালঘু তকমার পরিচয় দিয়ে হেলাল মেম্বার জমি দখল করেছে সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন পত্রিকায় অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে আসছে।

বক্তারা আরো বলেন, হেলাল মেম্বারের পিতা ৯নং ওয়ার্ডের প্রয়াত মেম্বার বখতিয়ার আহমদও অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল ও সম্ভ্রান্ত ছিলেন। তিনি জীবদ্দশায় তার পরিবারের জন্য বৈধ সম্পত্তি রেখে যান। তাই কারো কোন সম্পত্তি দখল করে ভোগ করার প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু ইয়াবা ব্যবসায়ী দীপন পরিকল্পিত ভাবে আরো কিছু চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ইন্ধনে হেলাল মেম্বারকে বিতর্কিত ও জনসম্মুখে হেয় করার জন্য এধরনের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে। রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এলাকা। এখানে মুসলিম, বৌদ্ধ, হিন্দু কোন ভেদাভেদ নেই। অথচ এই চিহ্নিত প্রতারক দীপন বড়ুয়া মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে কুতুপালং এর সুন্দর অসাম্প্রদায়িক পরিবেশকে নষ্ট করার পায়তারা করছেন।

এসময় বক্তারা মেম্বার হেলালের বিরুদ্ধে দীপন বড়ুয়ার এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সমাবেশ ও মানববন্ধনে কুতুপালং গ্রামের সর্ব-স্তরের জনসাধারন অংশ নেয়।