নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়ার আলোচিত মো. আমির হোসেনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এতে স্থানীয় ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার দুুপুরে নিহতের স্ত্রী ছকিনা ইয়াছমিন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন বলে জানান চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
নিহত মো. আমির হোসেন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী এলাকার কবির আহমদের ছেলে।
মামলার আসামিরা হল, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর (৩৫), ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী এলাকার ইউছুপ মিয়ার ছেলে আবদুর রহমান (৩৬), ফরিদ আলমের ছেলে সালাহ উদ্দিন (৩২) ও মো. ছরওয়ার (৩৬), উলুবনিয়া এলাকার মৃত ছাবের আহমেদ ওরফে কালা সোনার ছেলে সিরাজ মিয়া (৩০) এবং ডুমখালী এলাকার ছাবের আহমদের ছেলে মো. রেজাউল (২৯),মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে আবু ছালাম (৪৮), জামাল উদ্দিনের ছেলে বাহাদুর মিয়া (৪৪), টুক্কু মিয়ার ছেলে ছরওয়ার আলম (৩৯) ও আকবর আহমদের ছেলে বাবু মিয়া (২২)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়।
গত ২৩ মে রাতে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মিঠাছড়ি নুরুল উলুম ইসলামিয়া হাফেজখানা মাঠে একদল দূর্বৃত্ত কুপিয়ে ও গুলি করে মো. আমির হোসেন’কে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, মো. আমির হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদার সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ মামলাটি নথিভূক্ত করেছে।
মামলার বাদী ছকিনা ইয়াছমিন দাবি করে বলেন, গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে তার (বাদী) স্বামীকে বাড়ী থেকে সন্ত্রাসী আবদুর রহমান ডেকে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় মিঠাছড়ি নুরুল উলুম ইসলামিয়া হাফেজখানা মাঠে পৌঁছা মাত্র ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের নির্দেশে আবদুর রহমান ও সালাহ উদ্দিনসহ অপরাপর সন্ত্রাসীরা আমার স্বামী আমির হোসেনকে জাপটে ধরে হাত বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
“ এক পর্যায়ে আবদুর রহমান ও সালাহ উদ্দিনসহ অন্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এসময় ওখানে উপস্থিত থাকা ইউপি চেয়ারম্যান আদরকে বলতে শোনা যায় শালাকে একেবারে মেরে ফেল। আহতবস্থায় আমির হোসেন পালাতে চেষ্টা করলে গুলি করা হয়। এতে আমির হোসেনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়। “
মামলার বাদী বলেন, “ গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের পক্ষে ভোট না করায় আমার স্বামী আমির হোসেনকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকান্ডে জড়িতরা সকলেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লালিত-পালিত দূর্বৃত্ত। “
ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, মামলাটি নথিভূক্ত হওয়ার পর থেকে ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর দাবি করেন, মামলার এজাহারে বাদী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার যে সময় উল্লেখ করেছেন তখন তিনি ছিলেন চকরিয়া পৌর শহরে। যেটার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
“ তাছাড়া ওই সময়ে এলাকায় দুই ডাকাত-সন্ত্রাসী দলের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া মাত্রই আমি থানার পুলিশকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এসময় হাতে মাইক নিয়ে এলাকাবাসীকে অভয় দেওয়া, শান্ত থাকাসহ ডাকাতদের গ্রেপ্তার অভিযানে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবানও জানিয়েছি। তখন আমার সাথে পুলিশও ছিল। এসময় আমির হোসেনের (নিহত) স্ত্রী ছকিনা ও ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। এই দৃশ্য সবাই দেখেছেন এবং অনেকেই ফেসবুকে লাইভও দেন যা শত শত মানুষ শেয়ারও করেছেন।”
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আদর দাবি করেন, “ যদি আমি আমির হোসেন হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকতাম তাহলে কেনইবা আমার কাছে বিচার দাবি করলেন তার স্ত্রী-সন্তান? এতেই বুঝা যাচ্ছে নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে।”
ফয়সাল উদ্দিন রিপন : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮মে…
বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…
টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…
বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…