বিশেষ প্রতিবেদক : মিয়ানমারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সশস্ত্র সংগঠন আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র ভাই শাহ আলী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছেন; চট্টগ্রাম শহরের কোতয়ালী থানার দেওয়ান বাজারের জয়নব কলোনীর ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি ওই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রুহুল আজম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার এজাহারে এমন তথ্যটি উল্লেখ রয়েছে।
রোববার ভোর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ শাহ আলীকে (৫৫) আটক করে এপিবিএন সদস্যরা। এসময় আটক শাহ আলীর হেফাজত থেকে দেশিয় তৈরী ১ টি বন্দুক, ১ টি বড় আকারের ছোরা ও ১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার রাতে ১৪ এপিবিএন এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রুহুল আজম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় শাহ আলীসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো তিনজনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ।
মামলার আসামিরা হল, উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১০ ব্লকের বাসিন্দা মৃত গোলাম মোহাম্মদের ছেলে শাহ আলী (৫৫) এবং একই ক্যাম্পের এ-১১ ব্লকের বাসিন্দা মৃত আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ জোবাইর (২৫)।
এদের মধ্যে শাহ আলী কাছ থেকে উদ্ধার করা বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে চট্টগ্রাম শহরের কোতয়ালী থানার দেওয়ান বাজারের জয়নব কলোনী। তার এনআইডি নম্বর- ১৯৭১১৫৯৪ ১২০০০০০১৮।
ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, উখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীর ভাই শাহ আলীকে আটকের ঘটনায় পৃথক আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ সালেহ (২৮) নামের এক যুবক বাদী হয়ে অপহরণ ঘটনায় একটি এবং এপিবিএন এর এক সদস্য বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক অপর দুইটি মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার সকালে গ্রেপ্তার আসামিকে পুলিশ কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে কি তথ্য পাওয়া গেছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি এপিবিএন সহ সংশ্লিষ্টরা। তবে একটি সূত্র জানিয়েছেন, শাহ আলীর সাথে আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ক্যাম্পে এবং মিয়ানমারে শাহ আলীর রয়েছে আসা-যাওয়া। ক্যাম্পে অবস্থান করে নানা অপরাধে জড়িত শাহ আলী।
শাহ আলীকে আটকের এপিবিএন এর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিল, উখিয়ার কুতুপালং ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকায় বড় ধরণের অপরাধ সংঘটনের জন্য কতিপয় সশস্ত্র দূর্বৃত্ত অবস্থান করছিল। এই খবরে এপিবিএন এর একটি দল ড্রোনের সাহায্যে নজরদারী করে অপরাধীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে চোখ বাধা অবস্থায় অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। এসময় দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় এপিবিএন সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে শাহ আলীকে আটক করে। পরে তার হেফাজতে থাকা অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
ফয়সাল উদ্দিন রিপন : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮মে…
বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…
টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…
বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…