নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের পর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে দিবা-রাত্রি বিমান চলাচল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় সংসদের অনুমতি হিসাব কমিটি।
শুক্রবার বেলা ১২ টায় জাতীয় সংসদের অনুমতি হিসাব কমিটির একটি প্রতিনিধি দলের কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ পরিদর্শন শেষে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মফিদুর বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানের উন্নয়নকাজ শুরু হওয়ার পর রাত্রিকালীন বিমান চলাচলের জন্য যে ধরণের লাইটিং সিস্টেম সেটার কাজ অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। কাজটি দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। এই কাজ শেষ হলে বিমানবন্দরটির রানওয়ে আন্তর্জাতিকমানে রূপান্তরিত হবে।
“ ভবিষ্যতে এই বিমানবন্দরে নির্মাণধীন রানওয়েটির পশ্চিম পাশে আরো একটি রানওয়ে নির্মিত হবে। ওইটি নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে নির্মাণাধীন রানওয়েটি ব্যবহৃত হবে। সেখানে একটি বোয়িং প্লেস (জায়গা) থাকবে। যেখানে অনেক বেশী বিমানের জন্য জায়গার সংকুলান হয়। এটার সাথে এখানে ব্যাগেজ লিস্ট সিস্টেম, চেকিং লিস্ট সিস্টেমসহ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য যা কিছুই দরকার তা সবই অন্তর্ভূক্ত করা হবে। ”
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, “ বিমানবন্দরের ইন্সভেট লাইটিং সিস্টেম সেটার কাজু শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু কেলিব্রেশনটা বাকি আছে। বিদেশি বিশেষজ্ঞরা (ফরেন এক্সপার্ট) আসার কথা ছিল, কিন্তু বৈশ্বিক মহামারির (প্যান্ডেমিক) জন্য আসতে পারেননি। আমরা আশা করছি, তারা (বিদেশি বিশেষজ্ঞ) এসে কাজটি দুই মাসের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ”
এ নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে রানওয়ের এই অসম্পূর্ণ কাজটি শেষ হয়ে গেলে দিবা-রাত্রি বিমান চলাচলের জন্য প্রস্তুত থাকবে বলে জানান মফিদুর রহমান।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১২ টায় জাতীয় সংসদের অনুমতি হিসাব কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরের চলমান আন্তর্জাতিকমানে রূপান্তরের উন্নয়নের কাজ পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রতিনিধি দলটির সদস্যরা নির্মাণাধীন টার্মিনাল ভবনসহ উন্নয়ন কাজের নানা কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জাতীয় সংসদের অনুমতি কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে ছোট দেশ হলেও আমাদের সম্পদ এবং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেল হিসেবে যুবসমাজকে বিবেচনা করি এটা খুবই শক্তিশালী। সেই লক্ষ্যেই এটাকে (কক্সবাজার মিবানবন্দর) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুপান্তরের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে।
“ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধারাবাহিক উন্নয়নে বিশ্বাস করেন। এ লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নয়নের কাজ চলছে। এই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কোভিডের কারণে অনেক প্রকল্পের কাজ বাধ্য হয়ে মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও কিন্তু কাজ থেমে নেই। ”
উন্নয়নকাজের ধীরগতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় সংসদের অনুমতি হিসাব কমিটির সভাপতি বলেন, “ কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুরুতেই ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়েছে। এটা কিন্তু কর্তৃপক্ষ বা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কারণে বিলম্ব বলে জাতীং সংসদের অনুমতি কমিটি মনে করছে না। ”
তবে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে রূপান্তরের চলমান উন্নয়নকাজ নিয়ে জাতীয় সংসদের অনুমতি হিসাব কমিটির প্রতিনিধি দল সন্তুষ্ঠ এবং আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই তা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আবদুস শহীদ।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ পরিদর্শনকালে জাতীয় সংসদের অনুমতি হিসাব কমিটির সদস্য, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফয়সাল উদ্দিন রিপন : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮মে…
বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…
টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…
বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…