বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূণিঝড় ‘মোখা’। সম্ভাব্য বিপদ সামনে রেখে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা শুরু করেছে।
কিন্তু বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় প্লাবনের আশঙ্কায় আতংকিত উপক‚লবাসি।
পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, কক্সবাজারে ৫৯৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৩২ কিলোমিটার অরক্ষিত। এর মধ্যে মহেশখালী ১৫ কিলোমিটার এবং কুতুবদিয়ায় ১৫ কিলোমিটার। তবে জনপ্রতিধি ও স্থানীয়দের দাবি অরক্ষিত বেড়িবাঁধ তারও বেশি।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় কুতুবদিয়ায় ২০০টি, টেকনাফে ৪০টি এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের জন্য ১০০টি জিওটিউব এবং ৭ হাজার জিওব্যাগ মজুদ আছে। কোনো এলাকায় ভাঙন অথবা পানি প্রবেশের উপক্রম হলে আমরা দ্রæত ব্যবস্থা নেব।’
মহেশখালীর ধলঘাটার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ‘ধলঘাটার পশ্চিমে আমতলী থেকে সরাইতলার ৩ কিলোমিটার, পূর্বে বটতলী ঘোনা ও বিএনপি ঘোনা সাইট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার মাটির বাঁধ ঝুকিতে। এছাড়া দক্ষিণে ভারত ঘোনায় বেজার অধিগ্রহণকৃত এলাকা আরো তিন কিলোমিটারে কোন বাঁধ নেই।’
কামরুল হাসান বলেন, ‘এখানে ২০-২৫ হাজার মানুষের বাস। বাঁধ সংস্কারের জন্য চার মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু তারা আশ্বস্ত করে প্লাবিত হবে না। এই বাঁধের কারণে আরেকটি ৯১ সালের পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’
মাতারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যক্রম শুরু করলেও পশ্চিমের বাঁধ খুব নড়বড়ে। বিশেষ করে; জেলেপাড়া, ষাইটপাড়া, খন্দারবিল, রাজঘাট এই এলাকাগুলো খুবই ঝুঁকিতে। যদিও বাঁধের নিচে সাগরে বøক ফেলেছে পাউবো।’
এই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরওয়ার কামাল বলেন, ‘ কোনো কোনো অংশে জিওব্যাগ দিয়ে ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করা হলেও ৯, ৭ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধ লাগোয়া এলাকাগুলোতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই লোকালয়ে প্রবেশ করবে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।’
কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সিকদার বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্র ঠিকঠাক রাখলেও কাজিরপাড়া থেকে তাবলাচর বায়ুবিদ্যুৎ এলাকা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নেই। একটু বাতাস বইতেই পানি পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে পূর্বে দিকে বের হবে। এখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বাস। চাষীরা ধান ঘরে তুলেছে, কিন্তু সবজি ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্য মতে, উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের হায়দারপাড়া, কাজিরপাড়া, কাহারপাড়া, সাইটপাড়া, কিরণপাড়া, পশ্চিম তাবালরচর, বড়ঘোপ ইউনিয়নের উত্তর বড়ঘোপ, কৈয়ারবিল সাইটপাড়া, উত্তর ধুরুং মিয়ারাকাটা, জুম্মাপাড়া এলাকা বেড়িবাঁধ ভাঙা। এসব এলাকায় সাগরের লোনাপানি ঢুকে তলিয়ে যাবে। বসতিসহ ফসল বিনষ্ট হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, ‘কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড গোমাতলীতে পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার করেছে। তবে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে পানি বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছি।’
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোছাইন জানিয়েছেন, শাহপরীরদ্বীপ ৯নং ওয়ার্ডের জালিয়াপাড়ার ১ কিলোমিটার বাঁধও ঝুঁকিতে রয়েছে।
অরক্ষিত বেড়িবাঁধ নিয়ে আতংকিত উপক‚লবাসি
কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূণিঝড় ‘মোখা’। সম্ভাব্য বিপদ সামনে রেখে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা শুরু করেছে।
কিন্তু বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় প্লাবনের আশঙ্কায় আতংকিত উপক‚লবাসি।
পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, কক্সবাজারে ৫৯৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৩২ কিলোমিটার অরক্ষিত। এর মধ্যে মহেশখালী ১৫ কিলোমিটার এবং কুতুবদিয়ায় ১৫ কিলোমিটার। তবে জনপ্রতিধি ও স্থানীয়দের দাবি অরক্ষিত বেড়িবাঁধ তারও বেশি।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় কুতুবদিয়ায় ২০০টি, টেকনাফে ৪০টি এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের জন্য ১০০টি জিওটিউব এবং ৭ হাজার জিওব্যাগ মজুদ আছে। কোনো এলাকায় ভাঙন অথবা পানি প্রবেশের উপক্রম হলে আমরা দ্রæত ব্যবস্থা নেব।’
মহেশখালীর ধলঘাটার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ‘ধলঘাটার পশ্চিমে আমতলী থেকে সরাইতলার ৩ কিলোমিটার, পূর্বে বটতলী ঘোনা ও বিএনপি ঘোনা সাইট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার মাটির বাঁধ ঝুকিতে। এছাড়া দক্ষিণে ভারত ঘোনায় বেজার অধিগ্রহণকৃত এলাকা আরো তিন কিলোমিটারে কোন বাঁধ নেই।’
কামরুল হাসান বলেন, ‘এখানে ২০-২৫ হাজার মানুষের বাস। বাঁধ সংস্কারের জন্য চার মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু তারা আশ্বস্ত করে প্লাবিত হবে না। এই বাঁধের কারণে আরেকটি ৯১ সালের পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’
মাতারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যক্রম শুরু করলেও পশ্চিমের বাঁধ খুব নড়বড়ে। বিশেষ করে; জেলেপাড়া, ষাইটপাড়া, খন্দারবিল, রাজঘাট এই এলাকাগুলো খুবই ঝুঁকিতে। যদিও বাঁধের নিচে সাগরে বøক ফেলেছে পাউবো।’
এই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরওয়ার কামাল বলেন, ‘ কোনো কোনো অংশে জিওব্যাগ দিয়ে ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করা হলেও ৯, ৭ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধ লাগোয়া এলাকাগুলোতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই লোকালয়ে প্রবেশ করবে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।’
কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সিকদার বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্র ঠিকঠাক রাখলেও কাজিরপাড়া থেকে তাবলাচর বায়ুবিদ্যুৎ এলাকা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নেই। একটু বাতাস বইতেই পানি পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে পূর্বে দিকে বের হবে। এখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বাস। চাষীরা ধান ঘরে তুলেছে, কিন্তু সবজি ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্য মতে, উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের হায়দারপাড়া, কাজিরপাড়া, কাহারপাড়া, সাইটপাড়া, কিরণপাড়া, পশ্চিম তাবালরচর, বড়ঘোপ ইউনিয়নের উত্তর বড়ঘোপ, কৈয়ারবিল সাইটপাড়া, উত্তর ধুরুং মিয়ারাকাটা, জুম্মাপাড়া এলাকা বেড়িবাঁধ ভাঙা। এসব এলাকায় সাগরের লোনাপানি ঢুকে তলিয়ে যাবে। বসতিসহ ফসল বিনষ্ট হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, ‘কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড গোমাতলীতে পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার করেছে। তবে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে পানি বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছি।’
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোছাইন জানিয়েছেন, শাহপরীরদ্বীপ ৯নং ওয়ার্ডের জালিয়াপাড়ার ১ কিলোমিটার বাঁধও ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাসস : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) দেওয়া কক্সবাজারের মহেশখালীর…
নিজস্ব প্রতিবেদক: চকরিয়ায় সুরাজপুর ইয়াংছা সড়কে যাত্রীবাহি সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে ট্রাক গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের হ্নীলায় যৌতুকে দাবিতে মারধরে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) নামে এক গৃহবধূর…
নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘পরকিয়া প্রেমের’ জেরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এ…
ইউএনএইচসিআর-এর উদ্বেগ প্রকাশ নুপা আলম : অর্থ সংকটের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কক্সবাজারের উখিয়া স্পেশালাইজড…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোমবাতি হাতে জড়ো হয়েছিলো কয়েক…