নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত থেকে দ্বীপটির দেড় হাজার গ্রাহক পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা পেতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার ৫২ বছরে দ্বীপ উপজেলার মানুষ প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের জাতী গ্রিডের সুবিধা পাচ্ছেন।
প্রকল্পটির পরিচালক ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বুধবার রাত থেকে দ্বীপটিতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পৌঁছে গেছে। প্রাথমিকভাবে দেড় হাজার গ্রাহককে এ সুবিধা সরবরাহ করা হয়েছে। দ্বীপতে ১৯৮০ সালে জেনারেটরের মাধ্যমে সান্ধ্যকালীন কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল। ওই দেড় হাজার গ্রাহককে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। নতুন করে গ্রাহকদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০ হাজার গ্রাহককে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে।
সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, ২১৫ দশমিক ৮০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় বর্তমানে দেড় লাখের অধিক মানুষের বসবাস। ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় ১৯৮০ সালে জেনারেটরের মাধ্যমে সান্ধ্যকালীন কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্বল্প পরিসরে জেনারেটরের মাধ্যমে উপজেলা সদর ও তার নিকটের এলাকায় সন্ধ্যার পর কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখে পিডিবি। ২০০৮ সালে কুতুবদিয়ায় বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিমার্ণ করা হলেও তা কার্যত কাজে আসেনি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। ৪ শত কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই দ্বীপটিতে পৌঁছে গেল জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ জানান, প্রকল্পের অধিনে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে কুতুবদিয়া। কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ নিতে সাগরতলে দুই লেনে গেছে দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার ক্যাবল। ওখানে ১২ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন উপ-কেন্দ্র, ৭২০ কিলোমিটার সঞ্চালন বিতরণ স্থাপন হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পটির আওতায় নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ তিনটি সাব স্টেশন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। হাতিয়া থেকে ১১ কেভি সাবমেরিন লাইনের মাধ্যমে নিঝুম দ্বীপে বিদ্যুৎ নেওয়া হবে। মাসে নিঝুম দ্বীপেও বিদ্যুৎ যাবে বলে আশা করছেন প্রকল্পের পরিচালক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুতের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
তিনি জানিয়েছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করার জ্বলন্ত উদাহরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে যারা এ ধরনের প্রকল্পের কথা চিন্তাও করেনি তা প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করলেন। প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হল। কুতুবদিয়ায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দ্বীপবাসীর জন্য একটি স্বপ্ন পূরণ। তাই কুতুবদিয়াবাসীর পক্ষ থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
বাসস : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) দেওয়া কক্সবাজারের মহেশখালীর…
নিজস্ব প্রতিবেদক: চকরিয়ায় সুরাজপুর ইয়াংছা সড়কে যাত্রীবাহি সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে ট্রাক গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে…
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের হ্নীলায় যৌতুকে দাবিতে মারধরে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) নামে এক গৃহবধূর…
নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘পরকিয়া প্রেমের’ জেরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এ…
ইউএনএইচসিআর-এর উদ্বেগ প্রকাশ নুপা আলম : অর্থ সংকটের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কক্সবাজারের উখিয়া স্পেশালাইজড…
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোমবাতি হাতে জড়ো হয়েছিলো কয়েক…