আন্তর্জাতিক

অবশেষে চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়ল ভারত মহাসাগরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর ঠিক কোথায় আঘাত হানতে পারে তা নিয়ে কয়েক দিনের জল্পনা-কল্পনা ও শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মহাকাশে নিয়ন্ত্রণহীন চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়েছে।

রোববার সকালে এটি মালদ্বীপের পশ্চিমের মহাসাগরে পতিত হয় বলে চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে।

২৯ এপ্রিল ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের ওই রকেট চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পর তার ধ্বংসাবশেষের জন্য অনেকে আকাশের দিকে উদ্বেগ নিয়ে তাকাতে শুরু করেন।

তবে চায়না ম্যানড স্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস বলছে, ধ্বংসস্তুপের বেশিরভাগটাই বায়ুমণ্ডলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রকেটটির কিছু অংশ বেইজিং সময় সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৮টা ২৪ মিনিট) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের অ‌্যারোস্পেস কর্পোরেশনের টুইটে বলা হয়েছিল, রোববার জিএমটি ০৪:১৯ মিনিটের আট ঘণ্টা আগে বা আট ঘণ্টা পরে চীনের ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।

গত ২৯ এপ্রিল ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের ওই রকেট চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে তিয়ানহে মডিউল নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

তিয়ানহে মডিউল চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্টেশনটির তিন ক্রুর বসবাসের কোয়ার্টার এই মডিউলটিতে করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য কক্ষপথে মোট ১১টি মিশন পরিচালনা করবে চীন। এর প্রথমটিতেই ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটে করে তিয়ানহে মডিউল কক্ষপথে পাঠানো হয়।

লং মার্চ ৫বি’র ধ্বংসাবশেষ কতটা বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে তা নিয়ে আশঙ্কার পাশপাশি অনেকে চীনের তীব্র সমালোচনা করছিলেন।

যদিও রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর জন্য একদমই বিপদজনক হয়ে উঠবে না চীন বলে আসছিল।

শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরপরই রকেটের ধ্বংসাবশেষ পুড়ে যাবে। তাই সেটির কারণে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

তবে হার্ভার্ড ভিত্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডোয়েল এর আগে রয়টার্সকে বলেছিলেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর রকেটের ধ্বংসাবশেষের পুরোটা পুড়ে না গিয়ে সেটার কিছু অংশ ভূমিতে আঘাত করতে পারে, হয়তো আবাসিক এলাকাতে।

ওজন ২১ টন ওজনেনর লং মার্চ ৫বির ধ্বংসাবশেষেরটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে ধসে পড়া সবচেয়ে বেশি ওজনের ধ্বংসাবশেষ।

এটি ৯৮ ফুট লম্বা এবং ১৬ ফুট চওড়া। সেটি কক্ষপথ হয়ে পৃথিবীর দিকে ঘণ্টায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসে।

nupa alam

Recent Posts

শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন

ফয়সাল উদ্দিন রিপন : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮মে…

7 days ago

ঈদের মোনাজাতে রোহিঙ্গাদের কান্না; স্বদেশ ফেরতের আকুতি

বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৮ লাখ…

1 month ago

‘সংক্ষুদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মতে’ বন কর্মকর্তাকে হত্যা : পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কেটে সংঘবদ্ধ মাটির পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার…

1 month ago

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ : সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ, এপারে কম্পন

টেকনাফ প্রতিবেদক : সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান…

1 month ago

কক্সবাজার পৌরসভায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পৌরসভাকে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে কাজ…

1 month ago

কক্সবাজারে বিদ্যুৎ নিয়ে সু-খবর

বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে…

1 month ago